মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮ অপরাহ্ন
আমজাদ হোসেন, বাউফল প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দাবিকৃত টাকা না পেয়ে আর আর জুয়ের্লাস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন প্রভাবশালী পিতা-পুত্র।
পিতা বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার। ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদ হাসান। প্রতিষ্ঠানটি তালাবদ্ধের পর থেকে আজও উদ্ধার করতে পারেনি ভুক্তভোগীরা।
সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ তো দূরের কথা, স্থানীয় এমপিসহ গণ্যমান্যরা অসহায় ওই বাপ-ছেলের সন্ত্রাসের কাছে। কোনো উপায়ান্ত না পেয়ে শনিবার পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী গোপাল কর্মকার। ঘটনার পর থেকে এলাকা ছাড়া গোপাল ও তার পরিবার।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ- বাউফল উপজেলার বগা বন্দরের ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন তার মালিকানা সম্পত্তিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উঠিয়ে দীর্ঘ ১৪ বছর জুয়েলারি ব্যবসা করে আসছেন গোপাল কর্মকার। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার ও তার ছেলে মাহামুদ হাসানের নেতৃত্বে জসিম মুন্সি, মালেক মুন্সি, সবুজ মুন্সি গং বাসায় ঢুকে হামলা চালিয়ে নগদ ৬ লাখ টাকা দাবি করে বসে গোপালের কাছে। দাবিকৃত অর্থ না দিলে গোপাল কর্মকারের সম্পত্তি ওই আওয়ামী লীগ নেতার নামে দলিল দিয়ে ভারতে চলে যেতে হুমকি দেয়া হয়।
এ ঘটনার পর গোপাল কর্মকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে স্থানীয় জনৈক আব্দুল মালেক খানের কাছে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চুক্তিভিত্তিক ভাড়া দিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন। এ ঘটনার পর ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রভাবশালী পিতা-পুত্র ভাড়াটিয়া মালেক খানকে ঘর থেকে জোরপূর্বক বের করে প্রতিষ্ঠানের মালামাল লুট করে তালা লাগিয়ে দেয়।
এ প্রসঙ্গে এমপি আসম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, গোপাল আমার কাছে একাধিবার এসেছিলেন। বিষয়টি কেন যে সমাধান হলো না আমারও বোধগম্য নয়। দেখি কী করা যায়।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মোতালেব হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, আমি ও আমার ছেলে এ ঘটনার সাথে জড়িত না। আমি জানি, গোপালের কাছে এলাকার লোকজন ও ব্যাংক বহু টাকা পায়, তারাই তালা মারছে। ওকে এসে লোকজনের টাকা দিয়ে দোকান খুলে ব্যবসা করতে বলেন। আমরা সহযোগিতা করব।’
Leave a Reply